:
ব্রেকিং নিউজ

সাগরে ভাসমান গুদামের বিরুদ্ধে কোষ্টগার্ডের অভিযান

top-news

ডেস্ক রিপোর্ট:
মাদার ভ্যাসেল থেকে পণ্য খালাসের পর পণ্যবোঝাই জাহাজ সাগরে অলস ভাসছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে অভিযান শুরু করেছে কোষ্টগার্ড। দেশব্যাপী ভোজ্য তেলের ব্যাপক সংকট তৈরি হওয়ায় কোষ্টগার্ড এই অভিযান চালাচ্ছে। বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে সাগরে লাইটারজাহাজকে ভাসমান গুদাম বানানো হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও কোষ্টগার্ড। 
বাংলাদেশের সুবিশাল সমুদ্র সম্পদ সুরক্ষায় কোস্ট গার্ডের যাত্রা শুরু। নানা  প্রতিকূলতা পেরিয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড উপকুলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের জনগোষ্ঠী তথা দেশের আপামর জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষা, জলদস্যুতা ও বনদস্যুতা দমন, চোরাচালান, মাদক পাচার ও মানবপাচার রোধ, যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে নিবেদিত প্রাণ কোস্ট গার্ডের প্রতিটি সদস্য।
কোস্ট গার্ড দেশের সমুদ্র বন্দর সমূহ, বহিঃনোঙরে অবস্থানরত বৈদেশিক বানিজ্যিক জাহাজসমূহ এবং অভ্যন্তরীণ নৌপমে চলাচলরত নৌযান সমূহের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ৭ খুনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ২৪ ঘণ্টা টহল প্রদানের ফলে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভবপর হয়েছে বলে জানান কোষ্টগার্ড কর্মকর্তারা।
আভ্যন্তরীন নৌ রুটে চলাচলরত নৌযান সমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি নিয়মিত রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস ইত্যাদি যাচাই বাছাই করার মাধ্যমে বিআই ডব্লিউটিএ এবং নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়কে সহায়তা প্রদান করছে। 
বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ লাইটার জাহাজ, ট্যাংকারসহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী ও ভোজ্য তেলবাহী জাহাজ সমূহকে নোঙ্গর এলাকায় ৭২ ঘন্টার বেশি অবস্থানের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এসকল জাহাজ যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারে তা নিশ্চিতকরতে  কোস্ট গার্ড সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ হতে অদ্যাবধি ১০৮৫ টি বাণিজ্যিক ও লাইটার জাহাজে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। 
এদিকে, বহিঃনোঙ্গরে ছিঁচকে চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাদক পাচার এবং বানিজ্যিক জাহাজে অবৈধভাবে ক্রয় বিক্রয় বন্ধের নিমিতে বছরব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান করার কথা জানায় কোষ্টগার্ড। বহিঃনোঙ্গর এবং বাণিজ্যিক জাহাজসমূহ হতে চোরাই মালামাল বিক্রয়ের স্থানে নিয়মিত যৌথ অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে এসকল অপরাধমূলক কার্যক্রম শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলেও দাবি সংস্থাটির।
ঢাকা-চাঁদপুর-বরিশাল নৌ রুটে চলাচলকারী যাত্রিবাহী জাহাজসমূহের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কারণে যাত্রীরা নিরাপদে গন্তেব্যে পোছাতে পারছে বলে জানান কোষ্টগার্ড কর্মকর্তারা।
নৌ পরিবহণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ওয়াহিদুর রহমান জানান, দেশের অভ্যন্তরীর বিভিন্ন নৌরুট এবং বহি:নোঙ্গরে মাদরভ্যাসেল থেকে পন্য খালাসের পর সেসব পন্য নিদিষ্টস্থানে যাচ্ছে কিনা তার উপর কঠোর নজরদারি শুরু করেছে কোষ্টগার্ড। মাদার ভ্যাসেল থেকে পন্য খালাসের পর ৭২ঘন্টার মধ্যে নিদিষ্ট গন্তব্যে পৌাঁছানো হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখছে সংস্থাটি। লাইটার জাহাজকে ভাসমান গুদাম বানিয়ে ভোজ্য তেলসহ অনান্য নিত্য পণ্য গুদামজাত করার বিষয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে তথ্য পাওয়া না গেলেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন ঘটনা ঘটছে বলে জানান নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এজন্য ৪টি লাইটার জাহাজাকে জরিমানাসহ ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানো হচ্ছে বলেও জানান তারা।
এদিকে কোষ্টগার্ড জানিয়েছে, তারা এ পর্যন্ত ১হাজার ৮৫টি বাণিজ্যিক ও লাইটার জাহাজে অভিযান চালিয়েছেন। আমদানীকারা পন্য দেশের বাইরে যাতে পাচার করতে না পারে সেজন্য কোষ্টগার্ড সবাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে এবং কঠোর নজরদারী করছেন বলে জানিয়েছে কোষ্টগার্ডের  বিএসজিএস, সবুজ বাংলার অধিনায়ক  লে. কমান্ডার সালমান সিদ্দিকী।
তিনি আরো জানান, গভীর সমুদ্রে  ছুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক পাচার বন্ধসহ দেশের বিভিন্ন অভ্যন্তরীন নৌরুটে যাত্রীদের নিরাপদে চলাচলে কোষ্টগার্ড কাজ করছে বলে জানান কর্মকর্তারা। সাগরে জাহাজে নিরপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সাগরে টহল জোরদার করা হয়েছে।
দেশের সুনিল অর্থনীতিকে সুরক্ষা প্রদান, সাগারে অপরাধ মুলক কর্মকান্ড বন্ধসহ বানিজ্যিক জাহাজের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সুন্দরবন ও সেন্টমার্টিনে চলাচলাকারী পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় কোষ্টগার্ড কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।#

https://www.newspluse24.com/public/uploads/images/manualAds/maanmanualAds02022025_111955_adds.jpg

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *